Vegetarian Food Recipe

1.মালাই কোপ্তা কারি / ছানার কোপ্তা কারি রেসিপি

উপকরন:

1.ছানা (পরিমাণ মতো )

2.মুগ ডাল/ ছোলার ডাল (একসঙ্গে বেটে নিতে হবে)

3.আলু সেদ্ধ

4.সাদা তিল,কাজুবাদাম, টমেটো (একসঙ্গে পেস্ট করে নিতে হবে)

5.কর্ন ফ্লাওয়ার

6.জিরে,ধনিয়া,আদা,(একসঙ্গে পেস্ট করে নিতে হবে)

7.গোটা গরম মশলা

8.তেজপাতা

9.গোটা জিরে (ফোড়নের জন্য)

10.হিং

11.ভাজা জিরেগুঁড়ো,ধনিয়া গুড়ো

12.লাল লঙ্কার গুড়ো

13.গরম মশলার গুড়ো

14.হলুদ গুড়ো

15.ঘি

16.স্বাদ মতো নুন, চিনি


👉প্রথমে ছানার সাথে এক টেবিল চামচ ময়দা, স্বাদ মতো নুন চিনি দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়ে ডিমের মতো তৈরি করে

তারমধ্যে একটু গর্ত করে কিসমিশ ভরে আবারো ডিমের মতো তৈরি করতে হবে।

👉সেদ্ধ আলুর মধ্যে ডালের পেস্ট টি দিয়ে একে একে হলুদ গুড়ো,ভাজা জিরেগুঁড়ো, ধনিয়া গুড়ো লঙ্কার গুড়ো স্বাদ মতো নুন চিনি, সামান্য হিং দিয়ে মেখে নিতে হবে।

👉এবারে ছানার ডিম গুলোকে আলুর মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে নিয়ে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ওপরের আস্তরণ দিতে হবে। ভাজার সময় যাতে না ভেঙ্গে যায়।

👉 কড়াইয়ে তেল গরম করে মিডিয়াম আঁচে ছানার তৈরি ডিম গুলোকে বাদামি রং করে ভেজে ফেলতে হবে ।

👉কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল গরম করে তেজপাতা,গোটা গরম মশলা,গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোরন দিয়ে তারমধ্যে

আদা,জিরে,ধনিয়ার পেস্ট তিল,কাজুবাদাম,টমেটো পেস্ট,হলুদগুঁড়ো,লাল লঙ্কার গুড়ো স্বাদ মতো নুন চিনি দিয়ে খুব ভালো করে কশিয়ে নিতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত মশলার থেকে তেল ছাড়ছে ।মশলা কশানো হয়ে এলে পরিমাণ মতো

গরম জল দিতে হবে। ঝোল ভালো ভাবে ফুটে এলে তৈরি করে রাখা ভাজা ছানার কোপ্তা /মালাই কোপ্তা গুলি দিয়ে 3-4 মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।নামানোর আগে ঘি,গরম মশলার গুড়ো দিয়ে নামাতে হবে।

2. শীতের দুপুরে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ফুলকপি ভাপা

রন্ধন পদ্ধতি 👉 বড়ো বড়ো ডুমো করে কেটে নেওয়া ফুলকপি একটু নুন জলে ভাপিয়ে সামান্য নুন হলুদ লংকা গুঁড়ো দিয়ে একটু ভেজে তুলে নিলাম। এরপর একটা টিফিন বাটিতে ঐ ফুলকপি দিয়ে ওর মধ্যে এক চা চামচ পোস্তো,এক চা চামচ সাদা সরষে,এক চা চামচ কালো সরষে, চারটি কাজুবাদাম, চারটি কাঁচা লংকা একসাথে বেটে দিয়ে দিলাম। পরিমাণ মতো নুন ও চিনি দিয়ে এক টেবিল চামচ সরষে তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ওপরে টমেটো কুচি ও কাঁচা লংকা দিয়ে টিফিন বাটি বন্ধ করে কড়াইতে জল দিয়ে ওর মধ্যে টিফিন বাটি বসিয়ে ঢাকা দিয়ে দশ মিনিট ভাপিয়ে সামান্য একটু ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করলাম।

3. নিরামিষ পিজ্জা

১)প্রথমে দেড় চামচ ইস্ট এক কাপ জলে চিনি সহ মিশিয়ে পনেরো মিনিট ঢেকে রাখতে হবে।

15 মিনিট পরে ইস্ট ফুলে উঠবে।


এবার ,দেড় কাপ ময়দা নিয়ে এতে ওই ইস্ট এর জল দিয়ে ভালো ভাবে ময়দা মাখাতে হবে, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে হালকা গরম জল দেওয়া যেতে পারে


এটা 10 ইঞ্চি পিজ্জা এই জন্য দেড় কাপ ময়দা নিয়েছি, পিজ্জা সাইজ অনুযায়ী ময়দা নিতে হয়।


মিশ্রণটি ভালোভাবে মেখে এক ঘন্টার জন্য ঢেকে রাখতে হবে,


একঘন্টা পরে ঢাকনা খুলে দেখবেন আগের তুলনায় মিশ্রণটি ফুলে গেছে,


মিশ্রণটি ভাল করে মেখে একটি পরোটার আকারে বেলে নিতে হবে কিন্তু এই সময়ে কোন তেল বা ময়দার ব্যবহার করা যাবে না


এরপর পিজ্জার প্যানে একটুও বাটার অথবা সয়াবিন তেল ব্রাশ করে নিতে হবে

ময়দার দিয়ে বানানো পিজ্জা প্যানের উপরে রাখতে হবে।


এর পরে ঘরে বানানো পিজ্জা সস দিয়ে পিজ্জার উপরের অংশে মাখাতে হবে,এর উপরে আগে থেকে কেটে রাখা ক্যাপসিকাম টমেটো কুচি আর হোমমেড গ্রেটেড চিজ ছড়িয়ে দিতে হবে তারপর চিলি ফ্লেক্স আর অরিগানো পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে ।


এরপর ওভেন ২০০ ডিগ্রীতে ফ্রীহিট করে, ১৮০ ডিগ্রিতে তে ১০-১৫ মিনিট বেক কিরে নিলেই তৈরী

হয়ে যাবে নিরামিষ পিজ্জা 😊

4. বীটের মালাই পাটিসাপটা

১ টা নারকেল কোরা, ২০০ গ্রাম বীট কোরানো, ২০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর, ২০০ গ্রাম চিনি, ৩০ গ্রাম করে কাজুবাদাম, কিশমিশ ও পেস্তা একসঙ্গে পাক দিয়ে পুর বানান। ৩০০ গ্রাম বীট সেদ্ধ করে মিহি করে বেটে নিন। এর থেকে ২০০ গ্রাম নিয়ে, তার সঙ্গে ২৫০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম পাটালি গুড় ও ২০০ মিলি দুধ দিয়ে গুলে নিন। ২ টেবিল চামচ ঘি নিন। তার থেকে অল্প করে গরম তাওয়ায় মাখিয়ে, পাতলা করে গোলাটা কিছুটা করে ঢেলে ছড়িয়ে দিন এবং জমে গেলে, তার ওপরে পুরটা লম্বা করে দিয়ে, পাটিসাপটার আকারে ভেজে নিন। ইতিমধ্যে ১ টিন মিল্কমেড বাকী ১০০ গ্রাম বীটবাটা, ১০০ গ্রাম ঝোলা খেজুরের গুড় আর ২০০ গ্রাম ফ্রেশ ক্রীমের সাথে মোলায়েম করে ফেটিয়ে রাখুন। একটা ছড়ানো পাত্রে পাটিসাপটা সাজিয়ে, তার ওপর মিল্কমেডের মিশ্রণ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

5. ইটালিয়ান স্যান্ডউইচ

উপকরণ:

পাউরুটি: ২টি (স্লাইস করা)।

গাজর কুচি: ২ টেবিল চামচ।

সেদ্ধ করা বাঁধাকপির কুচি :২ টেবিল চামচ।

লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ।

অলিভ অয়েল: ১ চা চামচ।

রেড চিলি ফ্লেক্স: ১/৪ চা চামচ।

সৈন্ধব লবণ: ১/৪ চা চামচ।


প্রণালী:


পাউরুটির দুদিক মুচমুচে করে টোস্ট করে নিন। এবার গাজর ও বাঁধাকপির কুচি গুলো মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে লেবুর রস মেশান। এবার এই মিশ্রণটি পাউরুটির দুটি টুকরোয় লাগিয়ে নিন। প্রত্যেক টুকরোয় উপর থেকে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিন। এবার টুকরোগুলোর উপরে রেড পেপার ফ্লেক্স ও নুন ছড়িয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে পরিবেশন করুন

6. টমেটো বেসিলের ব্রুশেতা উপকরণ

ব্রেড: ১২টি (স্লাইস, হালকা করে টোস্ট করা)।

টমেটো: ৩টি (কুচনো)।

অলিভ অয়েল: ১ টেবিল চামচ

পুদিনা পাতা: ৩ টেবিল চামচ (কুচনো), বিকল্পে ধনে পাতা সমপরিমাণ নিতে পারেন।

নুন: ১/৪ চা চামচ।

গোল মরিচগুঁড়ো: ১/৮ চা

চামচ।


প্রণালী:


টমেটো কুচনোর সময় অতিরিক্ত বীজ বার করে নিন। এবার একটি পাত্রে টমেটো কুচি, তেল, পুদিনাপাতা(বিকল্পে ধনে পাতা) কুচি ও নুন এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর ঢাকা দিয়ে ৪ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। ফ্রিজে রাখবেন না, তাহলে টমেটোর গন্ধ চলে যাবে। পরিবেশন করার আগে ব্রেডগুলো হালকা করে টোস্ট করে নিন। এবার একটি চামচ দিয়ে টমেটো ও পুদিনার ম্যারিনেট করে রাখা মিশ্রণটি পাউরুটির উপর দিয়ে দিন। উপর থেকে গোল মরিচগুঁড়ো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

7. মুগডালের পাকন পিঠে

২০০ গ্রাম মুগডাল শুকনো খোলায় সেঁকে তুলে রাখুন এবং গুঁড়িয়ে, চালুনিতে করে চেলে নিন। ২০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চালও গুঁড়িয়ে - চেলে নিন। এই দুটো জিনিস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। কড়াইয়ে দেড় লিটার দুধ বসিয়ে জ্বাল দিন ও ফুটে উঠলে, চালডালের মিশ্রণটা ঢেলে খুব করে নাড়ুন। এই সময় এতে অল্প নুন ও যোগ করুন। দলা পাকিয়ে গেলে নামিয়ে নেবেন। ঈষদুষ্ণ থাকতে থাকতেই অনেকক্ষণ ধরে মাখবেন হাত জলে চুবিয়ে চুবিয়ে, যাতে মন্ডটা বেশ মসৃণ হয়। এর থেকে কম করে নিয়ে যেকোনো ছাঁচে ফেলে বা অন‍্যভাবে ডিজাইন করে নিন।( আমি প্রথমটা গোল লেচি কেটে চ‍্যাপ্টা করে নিয়েছি ও তারপর একটা বাতিল কলমের ঢাকনি দিয়ে চেপে চেপে ফুলের মতো নকশা করেছি। টুথপিক দিয়েও কয়েকটার নক্সা করেছি। একটা পাত্রে ৫০০ গ্রাম চিনি, জল ও ৪ টে ছোট এলাচির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে মাঝারি ঘন শিরা তৈরি করে নিন। এবার কড়াইতে ২ কাপ ভালো ঘি গরম করে, পিঠেগুলো কম আঁচে লালচে করে ভেজে নিন। এগুলো শিরায় কিছুক্ষণ রেখে তুলে পরিবেশন করুন।

7. সুস্বাদু নিরামিষ বেগুন বাহার

উপকরণ: 1.মাঝারি মাপের বেগুন 3-4 টি মাঝ বরাবর লম্বা

করে কেটে নিতে হবে।

2.50 গ্রাম চীনাবাদাম ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে

পেস্ট করে নিতে হবে।

3.ফোড়নের জন্য কালো জিরে,শুকনো লঙ্কা

4.1টেবিল চামচ আদাবাটা

5. গোটা কয়েক কাঁচা লঙ্কা

6.3 টেবিল চামচ টক দই

7.1 টা বড়মাপের টমেটো পেস্ট করে নিতে হবে।

8.1/2 চামচ লাল লঙ্কাগুঁড়ো

9.1 চামচ হলুদ গুড়ো

10.ধনেপাতা কুচি

প্রথমে কেটে রাখা বেগুন নুন,চিনি,হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে।

বেগুন গুলো লাল করে ভেজে ফেলতে হবে ।

বেগুন ভাজা হয়ে গেলে কালো জিরে,শুকনো লঙ্কা ফোরন দিয়ে কাঁচা লঙ্কা,দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে একে একে টমেটো পেস্ট,লাল লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো ,টক দই স্বাদমতো নুন চিনি দিয়ে নেড়ে নিয়ে বাদামের পেস্ট দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়ে ভেজে রাখা বেগুন দিয়ে সামান্য জল দিয়ে 2মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। গা মাখা মাখা অবস্তায় নামিয়ে ফেলতে হবে।আর নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামাতে হবে।

8. বাচ্চাদের চটজলদি টিফিন চিড়ের পোলাও (Poha)

একটু মোটা চিড়ে।

আলু, মটরশুঁটি, বাদাম।

লঙ্কা কুচিয়ে কাটা।

১ টা গাজর গ্রেট করে নেওয়া।

গোটা সরিষা, কারিপাতা ৫/৬ টা।

তেল, নুন,হলুদগুঁড়ো, চিনি আন্দাজমতো।

ধনেপাতা কুচোনো অল্প।

পাতিলেবু।

ভেজিটেবিল অয়েল ১ চা চামচ।


প্রণালী (Method)


চিড়ে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। আলু একদম ছোট ছোট করে কেটে নিন।

পাত্রে তেল গরম করুন এবং গোটা সরিষা ফোড়ন দিয়ে দিন। সরিষা ছিটকে যেতে থাকলে বাদাম ছাড়ুন। বাদাম ভাজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন।

এবার কুচোনো লঙ্কা তেলে ভাজুন। তারপর কুচোনো আলুর টুকরো, গাজর, মটরশুঁটি, কারি পাতা দিয়ে ৪-৫ মিনিট রান্না করুন।

সবজির কাঁচা ভাব চলে গেলে ও প্রায় সেদ্ধ হয়ে গেলে হলুদ গুঁড়ো, নুন ও চিনি দিন। ভালো করে নেড়ে, চিড়ে মিশিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

গ্যাস বন্ধ করে বাদাম ভাজা ও অল্প পাতিলেবুর রস ছড়িয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন।

ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে বাচ্চার টিফিনে ভরে দিন।

9. দই বড়া

২০০ গ্রাম বিউলী ডাল

২৫০ গ্রাম সাদা তেল

সামান্য খাবার সোডা

স্বাদ মতন বিট লবন

স্বাদ মতন চিনি

আন্দাজ অনুযায়ী জিরে, গোলমরিচ, ধোনে আর শুকনো লঙ্কা গুড়ো


#প্রনালী :


বিউলী ডাল আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন মিক্স তে পেস্ট করে নিয়েছি। এবার ওই পেস্ট করা বিউলি ডালে সামান্য লবণ আর একটু খাবার সোডা মিশিয়ে হাতা / বড়ো চামচ দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিলাম। এবার কড়াই তে সাদা তেল গরম হতে দিলাম। খুব ভালো করে ফেটাতে হবে। এবার ওই পেস্ট পাস্ট্রি ব্যাগে বা প্লাস্টিক ব্যাগে এক কোনের দিক ( Cone ) ওই পেস্ট করা বিউলী ডাল ভরে নিলাম। প্লাস্টিক ব্যাগের কোন টা কাঁচি দিয়ে একটু কেটে নিলাম। হাতের মধ্যে নিয়ে চাপ দিলে বিউলী ডালের পেস্ট একটু মোটা হয়ে কড়াই র ওই গরম তেলের ওপর পড়বে। বেশ লাল করে বেজে তুলে নিলাম। এবার আস্ত জিরে, গোলমরিচ, ধোনে আর শুকনো লঙ্কা তাওয়াতে বা কড়াই তে হালকা করে ভেজে নিয়ে বেলুন চাকীতে বা শিল নোরা তে হালকা করে গুঁড়িয়ে নিলাম। এবার টক দই নিলাম তাতে সামান্য চিনি আর বিট লবন দিয়ে ফেটিয়ে নিলাম, এতে এবার ওই গুঁড়ো করা মসলা মিশিয়ে ভালো করে চামচ দিয়ে নেড়ে নিলাম। তারপর, ওই ভাজা বিউলী ডালের বড়া গুলো দিয়ে দিললাম .... ব্যাস হয়েগেল খুব মুখরোচক আবলবৃদ্ধবনিতর কাছে এক পরম খাবারের জিনিস #দই_বড়া। সুন্দর করে পরিবেশন করলাম।

10. মোচা ঘন্ট

প্রথমে মোচার শক্ত কাঠি আর পাতলা প্লাস্টিক মত আবরণ ফেলে দিয়ে ঝুরি করে কেটে নিতে হবে। এবারে ঝুরি করে কাটা অংশ গুলোকে সামান্য নুন ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।তারপর ঠান্ডা হয়ে এলে ভালো ভাবে চটকিয়ে নিয়ে জল ফেলে দিতে হবে।এবারে কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে জিরে তেজপাতা শুকনো লঙ্কা ,গোটা গরম মশলা ফোরন দিয়ে কেটে রাখা আলু দিয়ে ভাজতে হবে।ভাজা মোটামুটি হয়ে এলে তাতে কাজুবাদাম,চীনাবাদাম কিসমিস দিয়ে আদা বাটা,ধনে ,জিরে বাটা স্বাদ মত নুন,হলুদ দিয়ে ভালো ভাবে ভাজতে হবে। ভাজার জন্য 1কাপ গরম জল এড করতে হবে।মশলা কশানো হয়ে এলে সেদ্ধ করা মোচা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।ভালোভাবে ভাজা হয়ে এলে ঘি,চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ফেলতে হবে।

11. আলু-পটলের নিরামিষ কালিয়া

এই ভয়াবহ গরমের মধ্যে সম্পূর্ণ এক নতুন ও দারুণ স্বাদের ‘আলু-পটলের নিরামিষ কালিয়া'। খুব কম সময়ের মধ্যেই অসাধারণ এই কালিয়া প্রস্তুত করে নেওয়া যাবে। ভাত খাওয়ার জন্য এই পদ একদম আদর্শ।


উপকরণগুলি দেখে নিন

১) পটল ২) আলু ৩) সর্ষের তেল 8) নুন ৫) হলুদ গুঁড়ো ৬) গোটা জিরে ৭) দারুচিনি ৮) ছোট এলাচ ৯) আদাবাটা ১০) হলুদ গুঁড়ো ১১) শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ১২) ধনে গুঁড়ো ১৩) জিরে গুঁড়ো ১৪) কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ১৫) জল ১৬) টমেটো বাটা ১৭) চিনি ১৮) গোটা তেজপাতা ১৯) দুধ ২০) কাজু ২১) গরম মশলা গুঁড়ো ২২) ঘি ২৩) কাঁচালঙ্কা


প্রণালী: প্রথমেই ৫০০ গ্রাম পটল খোসা ছাড়িয়ে মাঝখান থেকে দুই টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তিনটি মাঝারি সাইজের আলু খোসা ছাড়িয়ে ডুমো ডুমো করে কেটে আবারও ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়াও পরে ব্যবহারের জন্য প্রথমে মিক্সার গ্রাইন্ডারে একটি মাঝারি সাইজের টমেটোর পেস্ট বানিয়ে রাখতে হবে। এরপর মিক্সার গ্রাইন্ডারে ৪-৫ চামচ দুধ ও দশ-বারোটি কাজু দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিতে হবে।

রান্না করার জন্য প্রথমেই কড়াইয়ে ৩-৪ চামচ সর্ষের তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে কেটে রাখা পটল দিয়ে ওপর থেকে পরিমাণ অনুযায়ী নুন ও সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে পটলের টুকরোগুলো ভাজতে হবে। মাঝারি আঁচে ৫-৬ মিনিট ধরে পটল ভেজে নিতে হবে। পটল ভাজা হয়ে গেলে তেল ছেঁকে তুলে নিতে হবে। এরপরে ওই তেলেই কেটে রাখা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিতে হবে। ওপর থেকে আবার পরিমান অনুযায়ী নুন ও সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে আলু ভাজতে হবে।আলু ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে তুলে নিতে হবে।

এরপরে কড়াইয়ে আরো ১ চামচ সর্ষের তেল দিয়ে তার মধ্যে ১ চামচ গোটা জিরে, ২ টুকরো দারুচিনি ও তিন-চারটি ছোট এলাচ দিয়ে খানিকক্ষণ নেড়ে নিতে হবে। এবারে কড়াইয়ে প্রথমে ১ চামচ আদাবাটা দিয়ে তেলের সাথে নেড়ে নিতে হবে, তারপর সামান্য নুন মিশিয়ে দিতে হবে। একদম কম আঁচে ১-২ মিনিট নাড়াচাড়া করে নেওয়ার পর কড়াইয়ে একে একে ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, ১.৫ চামচ ধনে গুঁড়ো, ১/২ চামচ জিরে গুঁড়ো, ১ চামচ কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ও সামান্য জল দিয়ে সবকিছু মিশিয়ে নিতে হবে।

কম আঁচে ৩-৪ মিনিট ধরে মশলা ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এবারে কড়াইয়ে আগে থেকে বেটে রাখা টমেটো দিয়ে দিতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে খানিকক্ষণ কষিয়ে নেওয়ার পর মশলার মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী নুন, সামান্য চিনি ও দুটো গোটা তেজপাতা দিতে হবে। সবকিছু আবার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবারে কড়াইয়ে আগে থেকে তৈরি করে রাখা দুধ ও কাজুর পেস্ট দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে।

কম আঁচে সবকিছু একসাথে ৪-৫ মিনিট কষিয়ে নেওয়ার পর কড়াইয়ে আগে থেকে ভেজে রাখা আলু ও পটলের টুকরোগুলো দিয়ে দিতে হবে। সব মশলার সাথে আলু-পটলের টুকরোগুলো মিশিয়ে দিয়ে ৩-৪ মিনিট আবার কষিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইয়ে পরিমাণ অনুযায়ী জল মিশিয়ে দিয়ে ওপর থেকে ১ চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, ১ চামচ ঘি ও ইচ্ছেমতো চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে আবার মেশাতে হবে। এবারে কম-মাঝারি আঁচে কড়াই ৫-৬ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে রান্না করে নিতে হবে। এরপরে গ্যাস অফ করে কড়াই আরো ৪-৫ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ব্যস, তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে দারুণ স্বাদের ‘আলু-পটলের নিরামিষ কালিয়া'।

12. বড়ি দিয়ে সবজির মরিচ কাটা ঝোল

উপকরন

১.কাঁচা কলা,মিষ্টি কুমড়ো লম্বা করে কাটা

২. ডাটা ছোট ছোট করে কাটা

৩.জিরাবাটা,কাচাঁ মরিচ বাটা,কাঁচা টমেটো কাটা

৪.রান্ধুনি,গরম মসলা,তেজপাতা

৫.সয়াবিন তেল,ঘি,লবন,হলুদ,শুকনো মরিচ

৬.চিনা বাদাম,গুড়ো মরিচ,কাঁচা মরিচ বাটা

৭.চাল কুমড়ো দেয়া মাসকলাই ডালের বড়ি


প্রণালীঃ


কাঁচা কলা,মিষ্টি কুমড়ো একটু বড় বড় লম্বা করে ও ডাটা ছোট ছোট করে কেটে লবন দিয়ে হালকা সিদ্ধ করে হলুদ মাখিয়ে ডুবো তেল/অল্প তেলে ভেজে নেই। কাঁচা টমেটো পাতলা করে কেটে নেই। এবার ডালের বড়ি জলে লবন দিয়ে হালকা সিদ্ধ করে হলুদ মেখে ভেজে নেই।এবারে জিরা, কাঁচা মরিচ বেটে নেই।এবার কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা,রান্ধুনি, শুকনো মরিচ ভেজে পরে একটু জল দিয়ে জিরা ও কাঁচা মরিচ বাটা,লবন, খোসা ছাড়ানো চীনা বাদাম, হলুদ গুড়ো,মরিচ গুড়া, ধনে গুড়া, লবন মিশিয়ে তাতে কাঁচা টমেটো ছেড়ে দিয়ে ভালো করে কসিয়ে নেই। কসানো হয়ে এলে তাতে ভাজা কাঁচাকলা,ডাটা ও মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে রান্না করতে হবে। এবার পরিমান মতো ঝোল দিয়ে হালকা আঁচে রান্না করতে হবে এবার এতে ভেজে রাখা বড়ি গুলো ছেড়ে দেই ভালোভাবে মসলা মাখা মাখা হলে জল দিয়ে নামাবার আগে একটু চিনি ও গরম মসলা বাটা দিয়ে নামাতে হবে দিতে হবে। দুপুরে গরম ভাত দিয়ে বা রাতে রুটি এর সাথে পরিবেশন করুন।


যদিও এটি আমার নিজের আইডিয়া থেকেই রেসিপি করা তবে আমার নিজের মুখে খেতে ততটা মন্দ না। তবে আশাকরি সকলের ভাল লাগবে ডালের বড়ি দিয়ে সবজির মরিচ কাটা ঝোল ।

13. নিরামিষ পনির রেসিপি

উপকরণ :

১. পনীর – ১৫০ গ্রাম ।

২. এলাচ – ২ টি ।

৩. দারচিনি – ১ ইঞ্চি ।

৪. লবঙ্গ – ৪ টি ।

৫. তেজপাতা – ১ টি ।

৬. আদা – ১ চা চামচ ।

৭. জিরে গুঁড়ো – আধা চা চামচ ।

৮. কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো – আধা চা চামচ ।

৯. লবন – স্বাদ মতো ।

১০. চিনি – আধা চা চামচ ।

১১. পোস্ত – ২ টেবিল চামচ ।

১২. চালমগজ – ১ টেবিল চামচ ।

১৩. কাজুবাদাম – ৮ থেকে ১০ টি ।

১৪. কিসমিস – ৫ থেকে ৬ টি

১৫. কাঁচা লঙ্কা – ২ টি ।

১৬. সামান্য জল ।

১৭. মাখন – ১ টেবিল চামচ ।

১৮. ভেজিটেবল তেল – ৪ টেবিল চামচ ।

১৯. কসৌরি মেথি – ১ চা চামচ ।


প্রণালী :

১ম ধাপ : পনীর এর এই রেসিপি টি বানানোর জন্য প্রথমে একটা ব্লেন্ডিং জার এ পোস্ত ২ টেবিল চামচ নিয়ে শুকনো অবস্থায় পেস্ট করে নিতে হবে এরকম ভাবে পোস্ত পেস্ট করে নিলে পরে পোস্ত বাটা টা খুব মিহি হবে। এর মধ্যে এবার দিয়ে দেব চালমগজ ১ টেবিল চামচ, কাজুবাদাম ৮ থেকে ১০ টি , কিসমিস ৫ থেকে ৬ টি ,কাঁচা লঙ্কা ২ টি এর মধ্যে সামান্য জল দিয়ে একটা পেস্ট তৈরী করে নেবো।


২য় ধাপ : এবার কড়াই নিয়ে হালকা গরম করে তাতে মাখন ১ টেবিল চামচ দিয়ে পনীর এর টুকরো গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। পনীর ভাজা হয়ে গেলে একটা আলাদা পাত্রে তুলে নিতে হবে। এখন ওই একই কড়াই তে ভেজিটেবল তেল ৪ টেবিল চামচ দিয়ে হালকা গরম করে এলাচ ২ টি ,দারচিনি ১ ইঞ্চি ,লবঙ্গ ৪ টি , তেজপাতা ১ টি দিয়ে আবার ও হালকা করে ভেজে নেবো এখন এর মধ্যে দেব আদা ঘষা ১ চা চামচ এখন আঁচ কম করে রেখে ভেজে নেবো তাহলে আদার কাঁচা ঘন্ধ চলে যাবে।


৩য় ধাপ : এখন এর মধ্যে পোস্ত বাটা দিয়ে দিচ্ছি। এবার ২ থেকে ৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।


৪র্থ ধাপ : এবার এর মধ্যে জিরে গুঁড়ো আধা চা চামচ ,কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো আধা চা চামচ এখন এই সব উপকরণ গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।


৫ম ধাপ : এবার এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি লবন স্বাদ মতো আর মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য চিনি আধা চা চামচ দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট কম আঁচ এ রেখে গ্রাভি টা ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর গ্রাভি র মধ্যে দিতে হবে ১ চা চামচ কসৌরি মেথি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।



৬ষ্ঠ ধাপ : এবার গ্রাভি খুব ভালো করে তৈরী হয়ে গেছে এবার এর মধ্যে ভেজে রাখা পনীর এর টুকরো গুলো দিয়ে দিচ্ছি আর খুব সাবধানে পনির গ্রাভি সাথে মিশিয়ে একটু ফুটিয়ে নিতে হবে।


৭ম ধাপ : এবার নিরামিষ পনির একদম তৈরী হয়ে গেছে। এবার গরম গরম পনির পরিবেশন করে দেওয়া যেতেই পারে।

14. মিক্সড্ ভেজিটেবল কারি

২০০ গ্রাম সয়া চাঙ্কস্ নুন মেশানো গরম জলে ফুটিয়ে, জল চিপে শুকনো করে রাখুন। এতে ১/২ চা চামচ পাতিলেবুর রস, ১ চা চামচ গোলমরিচগুঁড়ো মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ২ চামচ ময়দা, ১/২ চামচ কর্নফ্লাওয়ার মাখিয়ে, সয়াগুলো পরিমাণমতো সাদা তেলে ভেজে তুলে রাখুন। বাকি তেলে ২৫ গ্রাম মাখন মিশিয়ে গরম করে, তাতে ছোট টুকরো করে কাটা ২ টো করে আলু এবং গাজর দিয়ে ভাজতে থাকুন। এবার এতে ১ টা কুচোনো ক‍্যাপসিকাম, ১ চা চামচ চিলি ফ্লেক্স, স্বাদমতো নুন-চিনি, ৩ চা চামচ সবজি মশলা যোগ করে কষাতে থাকুন। কষানো হলে প্রয়োজন মতো জল ও ১০০ গ্রাম খোসা ছাড়ানো আমন্ড বাদাম দিয়ে কড়াইয়ের ঢাকা চাপা দিন। সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে, ভাজা সয়াগুলো, ১০০ গ্রাম কিশমিশ মেশান। ঝোল টেনে কিশমিশ ফুলে উঠলে, আঁচ থেকে নামিয়ে, ১০০ গ্রাম ফ্রেশ ক্রীম ও সাজানোর জন্য দরকার মতো লাল চেরি দিয়ে সাজিয়ে, রুটি / পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।

15. এঁচোড়ের ডাল

উপকরন-- এক কাপ পরিমানে ছোলার ডাল, টুকরো করে নেওয়া এঁচোড়, নুন, হলুদ, কাঁচালঙ্কা, তেজপাতা, আদা কুচি


পদ্ধতি -- প্রথমে এক কাপ পরিমানে ছোলার ডাল নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে আধ ঘন্টা সময় মত ভিজিয়ে রাখলাম। এবারে এঁচোড়গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করে নেওয়ার পর এঁচোড়গুলোকে হালকা ভেজে নিতে হবে। তারপর একটি প্রেসার কুকারে ডাল গুলো কে 4-5 টি সিটি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।


এবারে একটি পাত্রে সামান্য তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে এলেই 2টি তেজপাতা, দুটি শুকনো লঙ্কা, সামান্য জিরে, সামান্য আদা কুচি দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে সেদ্ধ করে রাখা ডাল গুলি দিয়ে নাড়তে হবে। (ডাল ঘন মনে হলে সামান্য পরিমানে গরম জল দিয়ে একটু পাতলা করে নিতে হবে। )

ডাল ফুটতে আরম্ভ করলে ভেজে রাখা এঁচোড়গুলি দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। এবারে সামান্য নুন এবং সামান্য চিনি দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষন পর ডাল ফুটে ঘন হয়ে এলেই বুঝতে হবে আমাদের এঁচোড়ের ডাল তৈরী। (আপনারা চাইলে নামানোর আগে সামান্য পরিমানে ঘি এবং গরম মশলাও দিতে পারেন।


এই রেসিপি গরম গরম ভাত,রুটি, পরোটা, লুচির সাথে খেতে ভাল লাগবে।

16. মান বাটা

উপকরণ : পরিমাণ মতো মানকচু।।

সর্ষে।।

নারকোল কোরা।।

কাচা লঙ্কা।।

লবণ।।

হলুদ।।

চিনি।।

কালোজিরা।।

সর্ষের তেল।।


পদ্ধতি : প্রথমে মান টাকে ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে, ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিলাম।। তারপর সেটা মিহি করে বেটে নিলাম।। এরপর সর্ষে ও কাচা লঙ্কা বেটে নিলাম।।


এবার একটা করাই চাপিয়ে তাতে সর্ষের তেল পরিমাণ মতো দিয়ে গরম করে নিলাম।। ঐ গরম তেলে কালোজিরা দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে ওরই মধ্যে একে একে বাটা মান,, নারকোল কোরা,, সর্ষে ও লঙ্কা বাটা ছেড়ে দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে লাগলাম।। আঁচ একটু কমিয়ে রাখতে হবে নাহলে পুড়ে যাবে।। এবার এর মধ্যে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, হলুদ, একটু চিনি দিতে হবে।। ক্রমাগত নাড়তে নাড়তে যখন বাটা থেকে জল শুকিয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পুরো জমে যাবে।।