Cottage Industry

1.ছাদে টবেই চাষ করে ফেলুন ক্যাপসিকাম

ক্যাপসিকামের গুণ অপরিসীম৷ ক্যান্সার প্রতিরোধ থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা, আন্ত্রিকের সমস্যা, ব্যাথা মুক্তি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে৷ চারা বসানোর প্রায় দু মাস পর থেকেই ফলন পাওয়া যায় পরবর্তী এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত৷ বাজারে ৮০-১৫০টাকা পর্যন্ত কেজি ধরে বিক্রি হয়৷ অনেকেই কম পরিশ্রমে বাড়িতে ক্যাপসিকাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন৷

ক্যাপসিকাম, কম বেশি প্রায় সকলেই খেতে পছন্দ করেন৷ এর গুণ কিন্তু অপরিসীম৷ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোক বা রান্না অথবা স্যালাড, সবক্ষেত্রেই এর ভূমিকা অপরিসীম৷এই ক্যাপসিকাম কিন্তু সহজেই বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় টবে চাষ করতে পারবেন৷ চাইলে বিক্রিও করতে পারেন৷ তবে চাষের পদ্ধতি জানার আগে জেনে নিন এর উপকারিতা কতটা৷


ক্যাপসিকাম সবুজ, লাল, হলুদ নানা ধরণের হয়ে থাকে৷ ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, ৪.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, সহ ভিটামিন ই, কে, বি-৬, ফলিক অ্যাসিড বিদ্যমান৷ থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক প্রভৃতিও৷ ক্যাপসিকাম ক্যান্সার প্রতিরোধ থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা, আন্ত্রিকের সমস্যা, ব্যাথা মুক্তি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে৷ রক্তাল্পতার সমস্যাও কমায়৷ এতে থাকা ভিটামিন এ, সি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে৷ মাইগ্রেন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতেও ক্যাপসিকাম কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্টের জন্য ভালো এবং হাড়কে মজবুত করতে এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য৷

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বাড়িতেই ফলানো সম্ভব এই ক্যাপসিকাম-


বেলে দোআঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযুক্ত। তবে সেই মাটি অবশ্যই হতে হবে ঝুরঝুরে৷ সব মরসুমেই এখন ক্যাপসিকাম চাষ সম্ভব৷ তবে ভাদ্র ও মাঘ মাসে বীজ বপন করলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা বেশি থাকে৷

বাজারে বা নার্সারিতে বিভিন্ন জাতের ক্যাপসিকামের বীজ পাওয়া যায়। কয়েকটি উন্নত মানের জাত হল ক্যালিফোর্নিয়া ওয়াণ্ডার, ইয়োলো ওয়াণ্ডার এবং হাইব্রিডের মধ্যে ম্যানহাটন, অনুপম ভারত, রতন, মহাভারত, মানহেম-৩০১৯, মানহেম-৩০২০ প্রভৃতি৷ এছাড়াও আরও বহু প্রজাতি রয়েছে।


টবের দোআঁশ মাটিতে এক তৃতীয়াংশ জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে৷ তবে প্রায় সব ধরণের মাটিতেই এর চাষ সম্ভব৷ টবের নীচে ছিদ্র করে দিতে হবে অতিরিক্ত জল নিষ্কাশনের জন্য৷ মোটামুটি এক মাস বয়সের চারা টবে রোপনের জন্য উপযুক্ত৷ ক্যাপসিকাম চাষে ভালোরকম আলো, বাতাস প্রয়োজন হয়। চারা রোপনের ক্ষেত্রে রোদ কমে এলেই তবেই তা রোপন করতে হবে, না হলে অতিরিক্ত সৌরতাপে চারার ক্ষতি হতে পারে৷ চারা রোপনের ২০ দিন পর পর পর এক চামচ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রতিদিন পরিমিত জল দিতে থাকতে হবে৷ কারণ মাটি শুকিয়ে গেলে চলবে না।

চারা একটু বড় হলে খুঁটি দিতে হবে যাতে হেলে বা ঢলে না পড়ে যায়৷ এবং অবশ্যই আগাছা সাবধানে উপড়ে ফেলে দিতে হবে৷ চারা বসানোর প্রায় দু মাস পর থেকেই ফলন পাওয়া যায় পরবর্তী এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত৷ বাজারে ৮০-১৫০টাকা পর্যন্ত কেজি ধরে বিক্রি হয়৷ অনেকেই কম পরিশ্রমে বাড়িতে ক্যাপসিকাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন৷


তবে মনে রাখতে হবে ক্যাপসিকামের পাতায় রোগের উপদ্রব হতে পারে৷ পাতা হলুদ হয়ে কুঁকড়ে গেলে সেই গাছ দ্রুত ধ্বংস করে দিতে হবে৷ জাবপোকা দলবদ্ধভাবে গাছের পাতার রস চুষে খায়৷ ফলে পাতা কুঁকড়ে যায়৷ এর হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম বীজের দ্রবণ বা সাবান গোলা জল (প্রতি ১০ লিটারে ২ চা চামচ গুঁড়ো সাবান) স্প্রে করা যেতে পারে৷ অনেক সময় পাতায় কালো কালো দাগ দেখা যায় যা ধীরে ধীরে ক্যাপসিকামের ফলন কমিয়ে গাছ নষ্ট করে দেয়৷ এই আক্রমণ রোধ করতে, প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন গুলে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করা যেতে পারে৷

2. সাবুদানা কিভাবে তৈরি করা হয়?

সাবুদানার মূল উপাদান এক প্রজাতির পাম গাছ। টাপিওকা বা কাসাভা নামের পাম গাছের শক্ত কান্ড ও মূল থেকে সংগ্রহ করা হয় এই সাগু। যেটা পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ কার্বোহাইড্রেট সরবরাহের উৎস।

এই পাম গাছ লম্বায় ৬ থেকে ১৬ মিটার পর্যন্ত হয়। কখনো কখনো ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২৫টির মতো পাতা হয়। এই গাছে মাত্র একবারই ফুল ফোটে এবং ফল ধরার পর গাছ মারা যায়। আর এই পাম গাছের কান্ডের নির্যাস থেকে সাবু পাওয়া যায়।


দক্ষিন আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ব্যাপক ভাবে কাসাভার চাষ হয়ে থাকে।এটা অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু গাছ যা প্রচন্ড খরায়ও টিকে থাকতে পারে।

কাসাভা বেশ কয়েক প্রজাতির হয়ে থাকে যার কয়েকটি মারাত্বক বিষাক্ত। এমনকি ভাল জাতের কাসাভা ও ঠিক মত প্রস্তুত না করা হলে বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।

কান্ডের মধ্যকার স্পোর থেকে মূল গাছ জন্মায়। স্পোর লাগানোর পর ফসল আহরণের জন্য সাধারনতঃ ৭ থেকে ১৫ বছর পর যখন ফুল ধরার সময় হয় তখন সেটা কেটে এর কাণ্ডকে চিরে ফেলা হয়।

এই কাণ্ডকে দেখতে অনেকটা আমাদের মিষ্টি আলুর মত।

এরপর এর কাণ্ডের ভেতরের নরম ‘পিথ’ কে ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে আলাদা করা হয়। এরপর একে জলে ভিজিয়ে রাখলে এর ভেতরের স্টার্চ তরলের নিচে জমা হয়। জল দূর করে এই সাদা রংয়ের স্টার্চকে আলাদা করে শুকানো হয়। একেই বলে সাবু।


সাবু বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রথমে ময়দা আকারে পাওয়া যায়। একে ইচ্ছে করলে ময়দা আকারেও খাওয়া যায়। কিন্তু বাজারজাত করার জন্য একে মেশিনের সাহায্যে দানা করে তারপর খাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়। সাবুদানাকে ইংরেজিতে ‘সাবু পার্ল’ বলে।


এটি সহজেই হজম হয়, তাই শিশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মানব শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়, পেশী সংকোচন এ সহায়তা করে এবং জলের ভারসাম্য রক্ষা করে।


খুবই কম পরিমানে চর্বি থাকায় হার্টের রোগীদের জন্য সাবু একটি আদর্শ খাবার।এটি উন্নত মানের কার্বোহাইড্রেট , ফাইবার ও ক্যালসিয়ামের উৎস। বহু দেশের অতি পরিচিত ও প্রিয় খাদ্য এই সাবুদানা। সাবুদানার অনেক ধরনের রেসিপি রয়েছে। এগুলো শুধু মজাই নয়, পুষ্টিগুণেও দারুণ।

3. দুটি মাত্র উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন চুলের কলপ

উপকরণ

চা দুই চামচ ও মেহেদী পাউডার ৫/৬ চামচ।

পদ্ধতি

একটি সস প্যানে এক গ্লাস জল নিয়ে দুচামচ চা দিয়ে মিডিয়াম আঁচে মিনিট পাঁচেক ফোটাতে হবে। তারপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি লোহার কড়াইতে ৫/৬ চামচ মেহেদী পাউডার ( বাজারে পাওয়া যায় ১৫/২০ টাকায় এক প্যাকেট) নিয়ে তার মধ্যে চায়ের মিশ্রণটি দিয়ে ভাল করে ফেঁটাতে হবে। মিশ্রণটি যেন খুব বেশি পাতলা না হয়। এরপর মিডিয়াম আঁচে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিয়ে সারা রাত ঢেকে রেখে সকালে ব্যবহার করতে পারেন। লোহার কড়াইতে মিশ্রণটি তৈরি করা বাধ্যতামূলক। নাহলে কালো না হয়ে ব্রাউন হয়ে যাবে।

3. বাড়িতে পাওভাজি মসলা কিভাবে তৈরি করবেন?

উপকরণ

১. শুকনো লঙ্কা - ৪টি

২. মাঝারি সাইজের তেজপাতা - ২টি।

৩. দালচিনির টুকরো - ৩/৪ টি।

৪. বড় এলাচ - ৩/৪ টি।

৫. এক টেবিল চামচ গোলমরিচ।

৬. এক চা চামচ লবঙ্গ।

৭. এক টেবিল চামচ গোটা জিরে।

৮. এক টেবিল চামচ মৌরি।

৯. ২ টেবিল চামচ ধনে।

১০. এক টেবিল চামচ মেথি।

পদ্ধতি

প্রথমে শুকনো কড়ায় শুকনো লঙ্কা, এলাচ ও দালচিনি দিয়ে তেজপাতা গুলো ছোট ছোট টুকরোতে ছিঁড়ে নিয়ে দিয়ে দিতে হবে। মিডিয়াম আঁচে ৩/৪ মিনিট নেড়ে নেড়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর বাকি মসলা গুলো দিয়ে আরও ২/৩ মিনিট ভেজে নিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্রাইন্ডারে পিষে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পাওভাজি মসলা।